বিনোদন ডেস্ক: চিত্রনায়িকা পরীমণি তার প্রাক্তন স্বামী শরিফুল রাজকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করে দিয়েছেন। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি শরিফুল রাজকে উদ্দেশ্য করে লেখেন, \আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘৃণায় তোমাকে বাঁচতে হবে।\
২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর পরীমণি শরিফুল রাজকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে আসে পুত্র সন্তান শাহীম মুহাম্মদ পুণ্য। কিন্তু সন্তান জন্মের এক বছর পরই তাদের সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে পরীমণি একাই সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে পরী জানিয়েছেন, শরিফুল রাজ সন্তানের প্রতি কোনো দায়িত্বই পালন করেননি। পুণ্যের বিশেষ দিনগুলোতেও বাবার উপস্থিতি দেখা যায়নি। তবে মাসখানেক আগে শরিফুল রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বাবা-ছেলের মেলামেশা দেখা যায়। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন তারা।
এই ভিডিও প্রকাশের পর আবারও শরিফুল রাজকে নিশানা বানালেন পরীমণি। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, \রাত জাগা আর নির্ঘুম রাত, মোটেও এক না সোনা! মা হয়ে দেখো শুধু। বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না। আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতো।\
তিনি আরও লিখেন, \তার ওপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেওয়া যায় না...জাস্ট ট্রাস্ট মি! রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধুরা, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা রেনডম ফেইসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল তাই না?\
শরিফুল রাজের সামাজিক মাধ্যমের আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরী। তিনি লিখেন, \যারা সুযোগ বুঝে বাচ্চার সাথে কয়েক সেকেন্ড ভিডিও রেকর্ডে মিথ্যা ইমোশন শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শুধু মায়েদেরই এসব বিস্বাদ লাগে না।\
প্রাক্তন স্বামীকে উদ্দেশ্য করে পরী আরও বলেন, \একবার ভাবো তো, দিনের শুরু থেকে শেষ অব্দি কি কি করে একজন মা! তুমি ভাবতেও পারবা না জা**য়ার। ভাবা লাগেওনি তো বাবাদের কখনো! যারা বাবা হয় তারা সব জানে। জেনেই সব আগলে রাখে...। পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড বাপের মোটেও দরকার নাই। অন্তত এতদিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনাটা।\
শেষে ঘৃণা প্রকাশ করে তিনি লিখেন, \আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা। মরে গেলে তো বেঁচেই যেতা। হসপিটালের আপডেট যায় তো সোনা তোমার ফোনে! ওসব দেখে অন্ধ হয়ে যাও না কেন তুমি? কিছু ঘেন্না (ঘৃণা) খোলাই হয়।\
পরীমণির এই স্ট্যাটাস সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, আবার অনেকে এই প্রকাশ্য বিতর্ক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।